বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা : চোরাই আর ভেজাল কসমেটিকসে ছেয়ে গেছে হবিগঞ্জের বাজার। জেলা শহরের কসমেটিকসের বড় বড় দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের বাজারের দোকানগুলোতেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব কসমেটিকস। এ সকল চোরাই আর ভেজাল কসমেটিকসের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে লাগেজে করে অথবা সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আমদানিকৃত কসমেটিকস সমূহ। হবিগঞ্জের বিভিন্ন নামীদামী দোকানগুলো তা বিক্রি করছে চড়ামূল্যে। এছাড়াও জিঞ্জিরার মাল বলে পরিচিত ঢাকার কেরানিগঞ্জে উৎপাদিত ভেজাল কসমেটিকসও রয়েছে বাজারে। এসকল অবৈধ আর ভেজাল কসমেটিকসের হাত থেকে হবিগঞ্জবাসীদের রক্ষা করতে লাগাতার অভিযান শুরু করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রবিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর পরিচালিত এক অভিযানে হবিগঞ্জের সাবু মিয়ার দোকানে পাওয়া যায় অসংখ্য অবৈধ কসমেটিকস। এসব পণ্যের গায়ে নেই কোন আমদানিকারকের নাম ঠিকান, নেই কোন মূল্য লেখা। এসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এসব পণ্য বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। একই দিনে খাজা গার্ডেন সিটিতেও চোরাই কসমেটিকস বিরোধী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অবৈধ কসমেটিকস বিক্রির দায়ে খাজা গার্ডেনের ডিঙ্গি কসমেটিকসকে ২ হাজার টাকা, এবং লামিয়া কসমেটিকসেকে আরো ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় মার্কেটের সকল ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়াও একই দিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে টাউন হল এলাকার মধুবন রেস্তোরাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
হবিগঞ্জ ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সার্বিক সহয়তায় ছিলেন নায়েক সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম। অভিযান চলাকালে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানানো হয়।